শরীফ আহমেদ (তাড়াশ প্রতিনিধি:) ৬৪-সিরাজগঞ্জ ৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে  মনোনয়ন প্রত্যাশী, নওগাঁ শাহ শরীফ জিন্দানী (রহ.) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সফল  সভাপতি জি কে এস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান  খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর।

বুধবার সকালে নওগাঁর হযরত শাহ শরীফ জিন্দানী (র.) মাজার মসজিদে যহরের নামাজ আদায় ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের শোডাউন, পথ সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি। এ উপলক্ষে মাজার চত্বরে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর এ দেশ ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার শাসন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার হনন করেছে। জনগণের বাগ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে কন্ঠ রোধ করেছিল। বাংলার মানুষ তার প্রতিদান তাকে দিয়েছে। মানুষকে খুন করে দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে। খুনি হাসিনা আর কখনো বাংলার মাঠিতে আসতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, আমি দলের জন্য আ’লীগের জেল জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছি। জীবন বাজি রেখে বিএনপি দলকে তাড়াশে সুসংগঠিত করে রেখেছি। আমি কখনো পালিয়ে রাজনীতি করিনি। তাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন প্রার্থী যদি আমার চেয়ে দলের জন্য বেশি কিছু করে থাকে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দলে আমার চেয়ে কেউ কম অবদান রাখলে সে ক্ষেত্রে আমার আপত্তি আছে।

তিনি আরো বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের গর্ব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এবং আমিরুল ইসলাম আলিম ভাইয়ের নিকট তাড়াশ বাসির আবেদন গত ৫৩ বছরে তাড়াশ উপজেলায় দলীয় ভাবে কাউকেও নমিনেশন দেননি। এবার আপনাদের নিকট তাড়াশ বাসীর প্রাণের দাবী তাড়াশ থেকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিতে হবে।  ৬৪-সিরাজগঞ্জ -৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে।

পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক তপন গোস্বামী, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীন মামবুব, বারুহাঁস ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ইকবাল শহিদ, ভি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহামন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, ফরহাদ আলী মাষ্টার, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।