শরীফ আহমেদ (তাড়াশ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের সনদ ছাড়া ভূয়া পল্লী প্রাণী চিকিৎসক ইমরান হোসেন ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
জানা গেছে, উপজেলা লাউশন গ্রামের খামারী সুজন হোসেনের একটি বাছুরের পা ভেঙ্গে যায়। তখন এলাকার প্রাণি চিকিৎসক ইমরান হোসেন দশ হাজার টাকা ভিজিটে তিনি খামারির ওই বাছুরটির ভাঙ্গা পায়ে যেন- তেন ভাবে প্লাষ্টার করে দেন। প্লাষ্টারের কয়েক দিনের মাথায় ওই বাছুরের অপচিকিৎসার কারণে প্লাষ্টার করা ভাঙ্গা পায়ে পচন ধরে। সেই সাথে দুঃগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
তখন নিরুপায় হয়ে গরুর খামারী মো. সুজন হোসেন বুধবার সকালে অসুস্থ্য বাছুরটি অটোভ্যানে তুলে তাড়াশ উপজেলা ভ্যাটেনারী হাসপাতাল ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরে নিয়ে আসেন। সেখানে থাকা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম ও ভ্যাটেনারী সার্জন ডা. মো. বাদল মিঞা প্রায় বাছুরটির পচন ধরা পা কেটে ফেলেন।
আর অপচিকিৎসার কারণে খামারী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ভূয়া পল্লী প্রাণী চিকিৎসক ইমরান হোসেন কে খবর দিয়ে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভূয়া পল্লী প্রাণী চিকিৎসক মো. ইমরান হোসেনকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন। বিষয়টি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান জানান, সনদ বিহীন পল্লী প্রাণী চিকিৎসকের অপচিকিৎসার কারণে খামারী ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
https://slotbet.online/