আল হেদায়েতুল্লা (সুজন): নীলফামারীর প্রাণকেন্দ্রে বসেছে গ্রামীণ কুটিরশিল্প মেলা, আর সেই মেলাকে ঘিরে জমে উঠেছে উৎসবের আবহ। সন্ধ্যা নামতেই ভিড় জমছে চারদিক থেকে—শুধু কেনাকাটা নয়, পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল আনন্দ খুঁজে নিতে ছুটে আসছেন নানা বয়সী মানুষ।
মেলায় শিশুদের আনন্দের জন্য রয়েছে খেলাধুলার নানান আয়োজন, আর বড়দের মন মাতাতে হাজির হয়েছে সৈয়দপুরের জনপ্রিয় ‘দ্য গ্রেট রওশন সার্কাস’। ঘন্টার পর ঘন্টা দর্শনার্থীরা ডুবে থাকছেন হাসি-আনন্দে, বিনোদনে।
মেলার আয়োজকেরা জানিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশ নিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা।
শনিবার (১৩ জুন) রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় উপচে পড়া ভিড়। উপস্থিত ছিলেন ডিমলার স্কুল শিক্ষক মোতালেব সরকার, যিনি বলেন, “গরমের কারণে দিনে আসিনি, কিন্তু সন্ধ্যায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। খুব ভালো লেগেছে। এমন আয়োজন প্রতিবছর হলে সন্তানদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে।”
পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমুও মেলার প্রশংসা করে বলেন, “ঢাকায় থাকি পড়ালেখার জন্য, কিন্তু বাড়ি এসে এমন প্রাণবন্ত আয়োজন দেখে দারুণ লাগছে। এই মেলা শুধু বিনোদনই নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্রও বদলে দিতে পারে। হস্তশিল্পীদের জন্য এটি বড় সুযোগ।”
তাহের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আবু তাহের জানান, মেলায় মাটির সামগ্রী, বেত ও বাঁশের পণ্য, পাটজাত সামগ্রীসহ শতাধিক স্টলে স্থান পেয়েছে স্থানীয় কুটির শিল্প। প্রতিটি স্টল যেন জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গল্প বলছে।
সন্ধ্যার পর রাইডস আর সংগীত মিলিয়ে পুরো এলাকা যেন রঙিন হয়ে উঠছে। এভাবেই একটানা বিনোদনের মাঝেও ইতিহাস, সংস্কৃতি আর অর্থনীতির ছোঁয়ায় আলোকিত হয়ে উঠেছে নীলফামারীর কুটিরশিল্প মেলা।
https://slotbet.online/