তরিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
৩৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো কারমাইকেল কলেজ কার্যত অচল করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। কারমাইকেল কলেজ “কমপ্লিট শাটডাউন” ঘোষণা করেছে তারা। গতকাল কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের এই ঘোষণায় রংপুরজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের বারবার আবেদন ও আন্দোলনের পরও কলেজ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি পূরণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং এবার আরও কঠোর কর্মসূচি হিসেবে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মূল দাবিগুলো
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
আবাসন সংকট, জরাজীর্ণ ভবনগুলো সংস্কার, শিক্ষক সংকট, আধুনিক ক্লাস রুমের ব্যবস্হা, পুলিশ ফাঁড়ি স্হাপনসহ ৩৭টি দফা।
আন্দোলনের প্রভাব:
শিক্ষার্থীদের টানা অবরোধে কারমাইকেল কলেজের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। ঘোষিত সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ফলে রংপুরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি করবে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া:
এখন পর্যন্ত চলমান সংকট নিরসনে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। তারা বার বার বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় যেন আমাদের ক্যাম্পাসে এসে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলেন।
সাধারণ জনগণ এবং স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং এ অঞ্চলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আশা করছেন।
https://slotbet.online/