সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ তিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অনুদান এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকাসহ বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিতে সহযোগিতার আশ্বস দেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে শহরের মাছুমপুর মহল্লার শহিদ সোহানুর রহমান রঞ্জু, গয়লা মহল্লার ছাত্রদলের কর্মী সুমন ও একই মহল্লার যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ সময় বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র, দিনমজুর, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শহিদ হয়েছেন। এর ফলে আমরা আজকের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করছি। আহত ও নিহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেগুলো পালন করছি। শোকাহত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু তাদের সঙ্গে দেখা করেছি আর সামান্য সহযোগিতা দিয়েছি। জেলা প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায়, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনোয়ার হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, সমন্বয়ক ইয়াসিন আরাফাত ইসান, আসির ইন্তেসার অয়ন, সজীব সরকার ও টিএম মুসফিক সাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহসভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু, ছাত্রদলের সদস্য মো. সুমন ও যুবদলের কর্মী আব্দুল লতিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে নিহত রঞ্জুর স্ত্রী পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমী খাতুন, ছাত্রদলের কর্মী নিহত সুমনের বাবা শহরের গয়লা মহল্লার গঞ্জের আলী এবং একই মহল্লার নিহত যুবদল কর্মী আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা খাতুন বাদী হয়ে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
https://slotbet.online/