এন,এম,সজীব স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, চাঁদাবাজ-লুন্ঠনকারীদের আর ক্ষমতায় আনা যাবে না। বর্তমানেও যদি কেউ লুন্ঠনকারী হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কি আরেকবার পরীক্ষা করার দরকার আছে? দরকার নাই। তিনি বলেন, এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই, প্রয়োজনীয় সংষ্কার সাধনের জন্য। তাড়াহুড়া করে আমরা নিজেরাও ক্ষমতায় যেতে চাই না। কেউ তাড়াহুড়া করে ক্ষমতায় যাক সেটাও আমরা চাই না। তিনি বলেন, আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। যেখানে সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে যোগ্যতার সাথে সুখে বসবাস করতে পারবে। আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। স্বৈরাচার ও দুরাচার দূর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই ও আন্দোলন একসাথে চলবে।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত গত জুলাই মাস থেকে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশকে তারা নরকে পরিণত করেছিল। ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত তারা মানুষ খুন করেছে। তারা সুস্পষ্ট গণহত্যাকারী। গণহত্যার বিচার আমরা চাই। প্রত্যেকটা গণহত্যার বিচার হতে হবে। আমরা সরকারকে বলি, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গণহত্যাকারীদের বিচার করুন।
যারা শহীদ হয়েছেন তারা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সুখী দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র; যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে। তাই যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে হবে। আর সেই নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংষ্কার করতে হবে। এজন্য জামায়াতে ইসলামী তখনই বলে দিয়েছে, এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই প্রয়োজনীয় সংষ্কার সাধনের জন্য। তাড়াহুড়া করে আমরা নিজেরাও ক্ষমতায় যেতে চাই না। কেউ তাড়াহুড়া করে ক্ষমতায় যাক সেটাও আমরা চাই না। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে সুযোগ দিবেন জনগণ যাদেরকে ভালোবেসে ভোট দিবেন, তারা যেন বাংলাদেশের পরিচালনায় আসে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সংষ্কার শেষে আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন দেখতে চাই। কিন্তু অতীতের দু:খজনক ঘটনা হলো- যারা নির্বাচনের আগে জাতিকে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছিল, ওয়াদা দিয়েছিল, ইশতেহার দিয়েছেন, নির্বাচনের পরে তারা সব ভুলে গেছেন। পাঁচ বছর জাতিকে দেয়া ওয়াদা বাস্তবায়নে তারা আগ্রহী ছিলেন না। বরঞ্চ অনেকেই প্রতিপক্ষকে দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আপনি তো আগে দেশ গঠন করবেন। আপনি দমনে ব্যস্ত হলেন কেন? দেশ গঠন করলে তো এমনিই যার যেটা পাওনা বিচারের মাধ্যমে পাবে এবং নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে বিশাল এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমীর ডা: ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মন্ডল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য দেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাও: আব্দুর রহিম ও অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম, বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর মোঃ আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক, সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর শাহিনুর আলম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডক্টর এনামুল হক।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ হাসিবুল আলম, এ্যাড. মোঃ মামুনুর রশিদ ও এস এম রাশেদুল আলম সবুজ, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি মাও: মাহমুদুল হাসান, শহর আমীর মাও: আনোয়ার হোসেন, সদর আমীর মাও: ইমরান হোসেন, পাঁচবিবি উপজেলা আমীর ডা. মোঃ সুজাউল ইসলাম, কালাই উপজেলা আমীর মুনছুর রহমান, আক্কেলপুর উপজেলা আমীর মাও: শফিউল হাসান দিপু, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আসলাম হোসেন, জামায়াত নেতা ফেরদৌস হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাতেন, শিবিরের জেলা সভাপতি জুয়েল হোসেন, শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি আব্দুল খালেক, হিন্দু নেতা তাপস কুমার মন্ডল প্রমুখ।
https://slotbet.online/