বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমাতে সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দের সকল সরকারী, বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কওমী মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ডেকে মিটিং করার ষড়যন্ত্র করছিল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফছার আলী। সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষো স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর টেলিফোনের নির্দেশে জেলা শিক্ষা অফিসার আফসার আলী প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চিঠির মাধ্যমে হেনরী বাসায় এ মিটিং ডেকেছিল। মিটিংয়ে ছাত্ররা যেন মাঠে না নামে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এসব নির্দেশনা দেয়ার কথা ছিল বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। কিন্তু মিটিংয়ের নির্ধারিত দিন ৪ আগষ্ট সিরাজগঞ্জে আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ ধারন করায় মিটিং করতে সক্ষম হয়নি।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল,
‘‘ড.জান্নাত আরা হেনরী, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য (সিরাজগঞ্জ সদর- কামারখন্দ) মহোদয়ের ০৩/০৮/২০২৪ খ্রিঃ তারিখের টেলিফোনিক নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ০৪/০৮/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রোজ রবিবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় তাঁর বাসভবনে নির্বাচনী এলাকা (সদর, কামারখন্দ) অন্তর্গত সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের সমন্বয়ে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মত বিনিময় সভায় তাঁর আওতাধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ’’
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, একজন শিক্ষা অফিসার কোনভাবেই এ ধরনের চিঠি ইস্যু করতে পারে না। এটা একটা ছাত্র আন্দোলন দমানের জন্য ষড়যন্ত্র ছিল। তিনি এবং সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চাপ দিয়ে ছাত্রদের ঘরে ফেরানোর ষড়যন্ত্রের জন্য এই মিটিং ডেকেছিল। আমরা দেশবিরোধী ও ছাত্র-জনতার আন্দোলবিরোধী এ ধরনের শিক্ষা অফিসারের অপসারন দাবী করছি।
এ বিষয়ে আফসার আলী চিঠি ইস্যু করা অবৈধ স্বীকার করে বলেন, একজন সংসদ সদস্য নির্দেশ দিয়েছিল তাই এটা করেছিলাম। কিন্তু মিটিংটি হয়নি।
https://slotbet.online/