মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ বাঁশখালী জোনাল অফিসের এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ উঠেছে। ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঁশখালী উপজেলার কয়েক হাজার গ্রাহক।
সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন মিটাররিডার কাম ম্যাসেঞ্জার। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার কয়েকশ গ্রাহক ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছে মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিলের কাগজ পৌঁছালে ওই বিলের টাকার পরিমাণ দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে। তারা ওই বিল দেখে বিস্মিত ও হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারা দেখেন প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিলে বিগত মাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়াও মিটারের ইউনিটের সাথে উল্লেখিত বিলের ইউনিটের সাথে কোন মিল নেই। এতে করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাঁশখালী জোনাল অফিস এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক।
উপজেলার ৫নং কালীপুর ইউনিয়নের পুর্ব কোকদন্ডী
গ্রামের জাকের আহমদ নামে পল্লী বিদ্যুতের এক গ্রাহকের ছেলে অভিযোগ করেন, তার আবাসিক মিটারে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল ৭০- ৮০ ইউনিটের বিল আসে কিন্তু গত এপ্রিল মাসে আসছে ১৬৫ ইউনিট যাহা আগের বিলের ডাবল এত বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি। এত ইউনিট ভুতে ব্যবহার করেছেন কিনা তিনি প্রশ্ন রাখেন।
একাই ইউনিয়নের পুর্ব কোকদন্ডী গ্রামের নুরজাহান
বেগম, মনিরা বেগমসহ আরো দুই জন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, এভাবে যদি ভুতুড়ে বিলের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করা হয় তাহলে আমরা সাধারণ গ্রাহকের কোথায় যাব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এক মাসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা না করা হলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বাড়িতে গিয়ে লাইন কেটে দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের এই ভুতুড়ে বিলের কোনো সমাধান পাই না সাধারণ গ্রাহকেরা। এর প্রতিকার কবে হবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ গুনাগরী জোনাল অফিসে এজিএম মোহাম্মদ সালেকুর রহমানকে ফোন করে তার কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের অফিসে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানা নেই, গ্রাহক গণ যদি এই বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
https://slotbet.online/