অনেক জমিতে কৃষকরা ধান কেটে বেঁধে জমিতে রাখার পর এখন বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। আধা পাকা ধান বৃষ্টি পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে কেটে ফেলছেন। এতে ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানান কৃষকরা। পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে ধান। ফলে শত শত কৃষক এখন দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ৯৩ ভাগ বোরো ধান কাটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিলের নিম্নাঞ্চলের নাবি জাতের ধান নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকেরা সরিষা আবাদ করার পর ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগায় । এই কারনে ধান পাকতে সময় লাগে কিন্তু এবছর টানা বৃষ্টি আর আগাম পানি আসায় ফসলি জমি ডুবে যাচ্ছে দ্রুত। আমি ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত পাঁচ বিঘা কেটেছি। বাকিগুলো এখনো কাটতে পারিনি। এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিঘা প্রতি সাত থেকে আট হাজার টাকা দাম দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না তাই ফলন ভালো হলেও এবার খুব লসের মুখে পড়তে হবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যে ৯৩ ভাগ বোরো ধান কাটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিলের নিম্নাঞ্চলের নাবি জাতের ধান নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
https://slotbet.online/