নিজস্ব প্রতিবেদক :
আবারোও স্বাচিপের সেক্রেটারী হতে দৌড়ঝাঁপ করছে দূর্নীতিবাজ, জামায়াত দূর্নীতি সমর্থিত ডা: জাহিদুল ইসলাম। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থন চিকিৎসকদের সংগঠন। ২০১৯ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য এর জোরালো তদবিরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চর খোকশাবাড়ি গ্রামের জামায়াত এর রোকন শাহজাহান পুত্র ডা: জাহিদুল ইসলামকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থন সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
অপরদিকে স্বাচিপের পদ এবং তৎকালীন স্থানীয় এমপি’র সুপারিশে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখ থেকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এই এডহক থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে চলে তার দূর্নীতি। ডা: জাহিদুল ইসলাম এর দূর্নীতি বিরুদ্ধে কোন কর্মচারী প্রতিবাদ করলে অফিস ভিজিটের নামে চলে অমানবিক নির্যাতন। এমনকি এক সিএইচসিপির তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাকে চাকুরীচ্যুত করার জন্য সিবিএইচসিপি এর লাইন ডাইরেক্টর বরাবর মিথ্যা অভিযোগ এনে চিঠিও লিখেছেন। প্রত্যেক বিল উত্তোলন করতে ৩৫% অলিখিত ভ্যাট প্রদান ছাড়া কোন স্বাস্থ্য কর্মী কোন সম্মানি ভাতা, বিল উত্তোলন করতে পারে না।
ছাত্র জীবন, যুব জীবনে আওয়ামীলীগের সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনে নেই কোন পদ পদবী বা সদস্য পদ। এমন কি তার পরিবারের সদস্যরা, বংশধররা কোনদিন আওয়ামীলীগের সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না। তদুপরি তার পিতা স্থানীয় ইউনিয়ন জামাতের সক্রিয় রোকন ছিল বলে এলাকাবাসী থেকে তথ্য পাওয়া যায়। এমন এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সংগঠনের অর্থ আত্মসাত, ডাক্তাদের সাথে অসৎ আচরন, প্রকৃত আওয়ামী ডাক্তারদের সংগঠন থেকে দুরে রাখা সহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক বরাবর তার এক অধীনস্ত এক কর্মচারী অভিযোগও দাখিল করেছেন।
ডা: জাহিদুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন, অঙ্গ সংগঠনে কোন পদ পদবি বা সদস্য ছিল না। ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবির করেছেন বলে তার স্কুল ও কলেজ জীবনে বন্ধুরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডা: জাহিদুল ইসলামের পিতা শাহজাহান আলীর বংশধর কোনদিন আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনে কোন পদ পদবী বা সদস্য পদ ছিল না। এমন কি ডা: জাহিদুল ইসলাম সহ এর বংশধররা আওয়ামীলীগকে সমর্থন করত না। জানা যায়, ডা: জাহিদুল ইসলাম এর পিতা মো: শাহজাহান আলী স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন হিসেবে এখনও রয়েছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে জাহিদুল ইসলাম এর দাদা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
বর্তমানে চলছে সারাদেশে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সম্মেলন। গত ১৮ মে ২০২৪ইং তারিখে দিনব্যাপী সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা সম্মেলন বগুড়া মেডিকেল কলেজ এর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সম্মেলনে স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখায় সভাপতি পদে ৪জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ পদপ্রার্থী ঘোষনা করা হয়। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা, ডা: নীহার রঞ্জন দাস ও ডা: আল আমিন প্রতিন্দন্দ্বিতা করেন। সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচকরা প্রার্থীদের বায়োডাটা নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। আগামী ৭দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। আর অল্পকিছু দিনের মধ্যেই স্বাচিপের সভাপতি ও সাধারণের সম্পাদক এর নাম ঘোষণা করা হবে। আবারোও সাচিপের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ডা: জাহিদুল ইসলাম।
স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের প্যানা, ব্যানার, ফেস্টুন সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রার্থীদের ঝুলানো দেখতে পাওয়া যায়। কে হচ্ছেন স্বাচিপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) একটি আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন। আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠনের স্বাচিপের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ডা: জাহিদুল ইসলাম হীরা’র প্যানা ও ফেস্টুনে জাতীয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেম এম মনসুর আলী, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ড. জান্নাত আরা হেনরী’র ছবি দেখতে পাওয়া যায় না। যেহেতু আওয়ামীলীগের সমর্থিত সংগঠন স্বাচিপ, সেহেতু সিরাজগঞ্জ জেলা সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর ছবি প্যানা ও ফেস্টুনে না থাকায় সিরাজগঞ্জের ডাক্তার, ভোটার ডাক্তার সহ জেলার সর্বত্র চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়।
https://slotbet.online/