বাংলা সাহিত্যের আকাশে যাঁর উপস্থিতি এক ধ্রুবজ্যোতির্ময় নক্ষত্র—সেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে অনুরূপ আইচের নিবেদন এক সুরময় শ্রদ্ধাঞ্জলি, ‘তোমার সোনার তরী’।
এই গান কেবল একটি সংগীতসৃষ্টি নয়—এ যেন এক আত্মিক আরাধনা, এক অন্তরলোকের সমর্পণ। গীতিকার ও সুরকার অনুরূপ আইচ, যিনি বাংলা আধুনিক গানে এক নিজস্ব অভিব্যক্তির ভাষা নির্মাণ করেছেন, রবীন্দ্রভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে রচনা করেছেন এই অনন্য গীতরূপ।
জিন্নাহ খানের কণ্ঠে গানটি যেন প্রাণ পায় এক অদৃশ্য স্রোতস্বিনীর মতো—যেখানে গায়কের প্রতিটি উচ্চারণে ধ্বনিত হয় গভীর শ্রদ্ধা, আত্মিক উপলব্ধি ও শিল্পসাধনার অনন্য মাত্রা। সংগীতায়োজনে জাহিদ বাশার পংকজের সযত্ন ছোঁয়া আর ভিডিও নির্মাতা এ. বাবুলের নান্দনিক রূপায়ণ মিলিয়ে গানটি হয়ে উঠেছে একটি সম্পূর্ণ শিল্পসৃষ্টি।
ইউটিউব চ্যানেল ‘জেড মিউজিক আর্ট’-এ প্রকাশিত এই গানটি শ্রোতার অন্তর্গত বোধের দরজায় কড়া নাড়ে। এটি কোনো প্রচলিত ‘ট্রিবিউট’ নয়—বরং এক নিরুচ্চার আর্তি, এক নৌকা যা ভেসে চলে অন্তর্জগতের স্নিগ্ধ নদীতে।
অনুরূপ আইচ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে কেবল একজন কবি নন—তিনি এক চেতনা, এক নিরবচ্ছিন্ন ধ্যান। তাঁর ভাবনার স্রোত আমার অস্তিত্বকে জারিত করে রেখেছে। ‘তোমার সোনার তরী’ সেই অন্তরলোকের থেকে উঠে আসা এক শব্দনৌকা, যা দিয়ে আমি পৌঁছাতে চেয়েছি তাঁর নৈঃশব্দ্যের প্রান্তে।”
গানটির পরিবেশন নিয়ে জিন্নাহ খান বলেন, “এই গান শুধু গাওয়া নয়, যেন নিজেকে ধুয়ে-পুড়িয়ে এক অন্তরঙ্গ অন্বেষণে যাত্রা করা। রবীন্দ্রনাথকে উপলব্ধি করার এ এক অনন্য সুযোগ, যা কণ্ঠে ধারণ করার মানে নিজেকে শুদ্ধ করা।”
এই গান আমাদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় রবীন্দ্রনাথের সেই আলোকিত স্বরূপের কাছে, যেখানে বাংলা ভাষা, সংগীত ও আত্মজিজ্ঞাসার এক চিরন্তন মিলন ঘটে। ‘তোমার সোনার তরী’ সেই মিলনেরই এক সুরধ্বনি—যা শ্রোতার হৃদয়ে রেখে যায় এক দীপ্ত অনুরণন।
সাত্তার আব্বাসী
০৪.০৫.২০২৫ইং।
০১৭১১৪৭৫৭৫২।
https://slotbet.online/