প্রতি বছর ১৯ শে নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা দিবস। নারীদের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো এবং তাদের কার্যক্রমকে উদযাপনের জন্য দিবসটি পালন করা হয়। ২০১৪ সালে নিউইয়র্কের জাতিসংঘে প্রথম নারী উদ্যোক্তা দিবস পালিত হয়। নিউইয়র্কে পালিত অনুষ্ঠানটি ১১৪টি দেশে প্রচারিত হয়েছিল। বাংলাদেশে ২০১৮ সাল থেকে নারী উদ্যোক্তা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক বিশ্বে নারী উদ্যোক্তাদের সামনে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা ও সমস্ত বাধা দূর করে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। নারী উদ্যোক্তারা তাদের নিজ নিজ দেশের অর্থনীতিতে অবিচ্ছেদ্য অবদান রাখা সত্ত্বেও ব্যবসার জগতে প্রতিনিয়ত উপেক্ষিত হচ্ছেন। বিশ্বের নারী উদ্যোক্তাদের সম্মান জানাতে ও নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করতে মূলত: দিবসটি পালন শুরু হয়।
সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছেন নারীরা। ইন্টারনেটের এই বৈপ্লবিক যুগে ফেসবুক বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের নারীরাও হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা।
নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্যের প্রকাশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডুবতে বসা দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহককে নারীরা দিয়েছেন ভিন্ন পরিচয়। এই সব উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দিতে পারলে কেউ ঝরে যাবে না। দেশ গড়ে উঠবে এক নতুনরূপে, নতুন স্বপ্নে। তাই এই নারী উদ্যোক্তা দিবসে ভিন্ন আঙ্গিকে নারীর চলার পথ মসৃণ করতে নারী-পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা দিবসে বিশ্বের সকল নারী উদ্যোক্তাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে, সব অন্ধকার ঘুচিয়ে নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে যাক নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে বলছেন, নারী উদ্যোক্তা রয়ন জান্নাত।
যে ভাবে নারী উদ্যোক্তা হলেন রয়ন জান্নাত।
‘দরিদ্র বর্গাচাষি বাবার মেয়ে আমি। বিয়ে হয় আরেক অভাবের সংসারে। অল্প বয়সে সংসারে প্রবেশ করায় শেষ পর্যন্ত পড়াশোনাটা আর হয়ে উঠেনি। যদিও সেই স্বপ্নটা সন্তানদের দিয়েই পূরণ করার চেষ্টা করছি। এরপর স্বামীর চাকরিটাও চলে যায়। অল্প বয়সেই জীবন সংগ্রামে নেমে পড়ি। এমন অসহায় অবস্থায় জীবনের মোড় বদলায় এলাকার এক প্রভাবশালীর সহযোগিতায়। একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন তিনি। সেই মেশিন দিয়েই ঘরে বসে কাজ শুরু করি। পাশাপাশি কুশিকাটার কাজ করে সংসারের হাল ধরি। তবে আমার এগিয়ে যাওয়া আরও বেশি সহজ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক।
২০২০ সালের করোনাকালীন সময়ে ‘তুষারকন্যা’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলি। এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে আমার কাজ পুরোদমে শুরু করি। ধীরে ধীরে বদলে যায় দিন।’ অভাবকে জয় করে এভাবেই এগিয়ে যান নগরীর হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা রয়ন জান্নাত।
উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলে সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি আমি হোমনে খাবার, আচার, পিঠাপুলি তৈরি করি এবং সেগুল ডেলিভারি করি। এ পেজের মাধ্যমে আবার আম সেলাই করা কাপড়, কুশিকাটা দিয়ে তৈরি বিনি রকমের পণ্যও বিক্রি করি। দেশীয় সব সিজন ফলের আচার তৈরি করি। এখন আমার আছ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেে আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমার মাসিক আয় থেকে ৫০ হাজার।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে উদ্যোক্তা পরি দিতে গর্ববোধ করি। আমার ব্যবসাকে আমি আন বড় আকারে রূপ দিতে চাই। ভবিষতে আম তৈরি সবরকম পণ্য নিয়ে একটি কারখানা কল ইচ্ছে আছে। সেই কারখানায় অন্য মানুষের জ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চাই। আমার। মেয়ে দুই ছেলে। মেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল পড়ে। ছেলে আর মেয়েও আমাকে সহযোগিতা করে।
https://slotbet.online/