মোঃ আবু জাহিদ ঃ
মাহি (ছদ্দবেশী নাম) (১৪) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুলাল শাহের ছেলে হাফিজকে আটক করে ইবি থানা পুলিশ। পরে বুধবার অভিযুক্তকে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তবে শৈলকুপা থানা পুলিশ এঘটনায় মামলা না নিয়ে উল্টো বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। এর পেছনে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার ইবি থানা এলাকায় ভুক্তভোগী মাহিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনি ইবি থানা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করলে এ ঘটনায় জিজ্ঞেসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটক করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে মূল অভিযুক্তকে আটক করে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করে ইবি থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবার এ ঘটনায় মামলা করার কথা জানান। তবে ইবি থানার গণ্ডি পার হয়ে শৈলকুপা থানায় যেতেই বিষয়টি চুপিসারে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। মামলা না নিয়ে পুলিশ উভয়পক্ষকে সমাঝোতা করে দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের সাথে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। ফলে এখন তার মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, তারা সাবেক স্বামী-স্ত্রী ছিল। আবেগের টানে একসাথে হয়েছিল। এবিষয়ে তাদের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তাই মামলা হয়নি। থানায় সার্কেল স্যারের উপস্থিতিতে দুই পরিবারের সমাঝোতার কারণে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিয়েছি।
https://slotbet.online/