রংপুর কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও টোকাইদের উপদ্রব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে চুরি, ছিনতাই ও ছাত্র ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাওয়া হলেও কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কোন সুরাহা মিলছে না বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত নানা ধরণের অপরাধ করেই চলেছে ক্যাম্পাসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এম ও জি ওসমানী ছাত্রাবাসের সামনে শহীদ আবু সাঈদ হলের কয়েকজন ছাত্রকে আটকিয়ে তাদের নিকট থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এসময় ছাত্রদের উপর আক্রমণও করে তারা। ঘটনা জানা জানি হলে ক্যাম্পাসের সব হলের ও পাশবর্তী বিভিন্ন ছাত্রাবাসের ছাত্ররা জড়ো হয়ে মিছিল বের করে এবং আন্দোলনে নামে ছাত্ররা । এ ঘটনার বিচারের দাবিতে তারা মিছিলে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে লালবাগের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় লালবাগে অবস্থান নেয় ছাত্ররা। ফলে রংপুর শহর-মর্ডাণ রাস্তাটি প্রায় একঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাদেরকে বিভিন্ন দাবী নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় কলেজের হাজার হাজার ছাত্র একত্রিত হয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে লালবাগ বাজার এবং পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। ছাত্রদের মধ্যে অনেককে তাদের যৌক্তিক দাবীগুলো নিয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবীগুলো হলো-
১. শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী টোকাইদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা, ২. ক্যাম্পাসে এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি স্হাপন করা, ৩. আগামীকাল থেকে অস্থায়ীভাবে পুলিশ টহলের ব্যবস্হা করা, ৪. ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আইডি কার্ডের ব্যবস্হা করা, ৫. কলেজের ভেতরের দোকান পাট বন্ধ করা,
৬. ক্যাম্পাসে সবক্ষেত্রেই লাইটিংয়ের ব্যবস্হা করে ভূতুড়ে অবস্হার অবসান করা এবং,৭. ভেতরের রাস্তাগুলো সংস্কার করা।
তবে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো- কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসকে একটা নিরাপদ ক্যাম্পাসে রুপান্তরিত করা ও একটি স্হায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্হাপন করা।
রাত ৯ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করে ছাত্ররা। একপর্যায়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ জনাব প্রফেসর ড. রেহেনা খাতুন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জনাব দিলীপ কুমার রায় ও কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব রকিবুস সুলতান মানিক ঘটনাস্হলে আসেন। উপাধ্যক্ষ জনাব ড. রেহেনা খাতুন তাদের দাবীগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে। তবে তাদের দাবী মানা না হলে আবারো আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনরত ছাত্ররা।
https://slotbet.online/