বিশেষ প্রতিনিধি বরিশাল।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আজিমপুর গ্রাম সংলগ্ন এক বাসায় ১১/১২ জনের ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে ঘরের সদস্যদের জিম্মি করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। ডাকাতি কালে ঘড় মালিক শামিম আকনকে মারধর ও বাধার সময় এক ডাকাতের মাস্ক খুলে গেলে তাকে চিনতে পারে শামিম। ওই ডাকাতকে খুজে পুলিশ খরব দিয়ে তুলে দেন ভুক্তভোগী শামিম আকনসহ অনেকে।
ডাকাত সন্দেহে আটক সবুজ দফাদার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ভবানিপুর গ্রামের সুলতান দফাদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী শামিম আকন জানায়, আমরা রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে পরি। তার কিছু সময় পরেই চোখের উপরে আলো পরতেই চোখ মেলে দেখি মুখ বাধা এক লোক আমার চোখের উপরে লাইটের আলো মেরে রেখেছে ও গলায় রামদা ঠেকিয়ে বলে কোন কথা বলবি না, আলমারির চাবি দে। অন্য একজন আমার হাত পা বাঁধা শুরু করে। টের পেয়ে পাশে থাকা স্ত্রী সজাগ হলে অন্য একজন আমার স্ত্রীর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চুপ থাকতে বলে। তারও হাত বেঁধে ফেলে। এই শব্দ পেয়ে আমার চার বছরের ছেলে সজাগ হলে এমন অবস্থায় কান্না শুরু করে। তখন একজন ছেলের কাছে গিয়ে ধমক দিলে ছেলে ভয় পেয়ে থেকে যায়। এসময় আমি বলি ছেলে ভয় পাইতেছে, তখনই ওই সবুজ আমার বুকে একটা লাথি দেয়। এমন সময় তার মাস্ক খুলে যায়। তাদের লাইটের আলোতে আমি ও আমার স্ত্রী স্পষ্ট দেখতে পাই। ঘরে ১১/১২ জন লোক সবাই মুখোশ পড়া ছিলো। সবুজকে চিনতে পারি বলেই পুলিশের হাতে তুলে দেই। কিন্তু পুলিশ কেন বা কিজন্য তাকে ছেড়ে দেয় জানিনা।
শামিম আরও জানায়, ঘরে থাকা স্বর্ন, নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। প্রায় ৪০ মিনিট তারা ঘরে অবস্থান করে ডাকাতির কার্যক্রম চালায়।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মেলিম খান জানায়, গত শুক্রবার রাতে ঘরে কেহ না থাকায় তার ঘরও চুরি হয়। ঘরের তালা কেটে সব মালামাল নিয়ে যায়। এর এক সপ্তাহ আগে শামিম আকনের প্রতিবেশী হযরত আলীর ভাইয়ের ঘর চুরি হয় বলে জানায় হযরত আলী। হযরত আলী আরও জানায়, রাত প্রায় তিনটার দিকে ডাক চিৎকার শুনে দরজা খুলে বের হইতে গেলে বাহির থেকে ছিটকানি দেওয়া থাকে। শামিমেরে স্ত্রী আমাদের ঘরের ছিটকানি খুলে দিলে বাহিরে বের হই ও শামীমের ঘর ডাতাকি হয়েছে শুনি। ঘরে গিয়া দেখি সব এলোমেলো ও ভাঙ্গা চুড়া।
অন্য এক প্রতিবেশী জানায়, এক মাসে এই এলাকায় পাঁচ ঘরে চুরি হয়েছে ও শামিমের ঘরে ডাকাতি হয়েছে। এলাকার সবাই নিরাপত্তা হিনতার ভুগতেছি।
আটককৃত সবুজ দফাদার জানায়, তাকে কেন আটক করে থানায় আনা হয়েছিলো জানিনা। তবে তিনি ডাকাতি বা চুড়ির সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ডাকাতির বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে বলেন, বাদির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি, পেলে বলতে পারবো কি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। সবুজ নামে একজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও ডাকা হবে। অপরাধের সাথে যুক্ত থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
https://slotbet.online/