বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসমাইল নামে এক প্রবাসীর জমিতে মাটি ফেলে জমি ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দখলবাণিজ্যে বাধা দেওয়ায় বাদীপক্ষকে মারধরের হুমকি প্রদানের অভিযোগও উঠেছে।
এতে করে ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (দক্ষিণ) চট্টগ্রামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই প্রবাসীর বোন আফিফাতুল জান্নাত।
জমির মালিকপক্ষ আফিফাতুল জান্নাত ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরল মৌজার আর.এস-৩১ নম্বর খতিয়ানের আর.এস ১৪৩,১৪৪,১৫২ দাগাদীর সামিল বি.এস ৫৮০ নম্বর খতিয়ানের বি.এস ৯৮৬ দাগের আন্দর ১৬ শতক এবং বি.এস ৯৮৭ দাগের আন্দর ৩ শতকসহ সর্বমোট ১৯ শতক সম্পত্তি বিরোধীয় হয়। উক্ত সম্পত্তি একই কমপেক্টভুক্ত এবং যা বর্তমানে বাড়ী ও নাল প্রকৃতির হয়। যাহা আমরা পৈতৃক সুত্রে ভোগ করে আসতেছি। কিন্তু আমরা বাড়িতে না থাকায় জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করতেছেন স্থানীয় আবু সৈয়দ ও আসিফ।
এ ব্যাপারে আফিফাতুল জান্নাত অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্ণিত তফসিলের সম্পত্তি আমার পিতা মৃত মনির আহমদ প্রকাশ মনিরুল ইসলামের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত এবং ১৯৯৬ সালের বিভিন্ন তারিখে বাঁশখালী সাব-রেজিষ্ট্রীকৃত ১৫৬৮, ১৬৯৫, ২৬২৩, ৪৭৬৭ নম্বর কবলামূলে আমার পিতার ক্রয়সূত্রেপ্রাপ্ত সম্পত্তি। আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি, আমার দুই মাতা, একভাই উক্ত সম্পত্তিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছি। তথায় আমাদের মালিকানাধিন সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় জনৈক আবু সৈয়দ আহম্মদ, মো. আবু হানিফ প্রকাশ আসিফ গং গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্কেভেটর বসিয়ে মাটি কাটার কাজ করলে আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় বাধা দিই। পরে আমাদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে তারা। বর্তমানেও স্কেভেটর বসিয়ে জমি ভরাট করছেন তারা।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে আমি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রাম দক্ষিণ বরাবর আবেদন করি। আদালত আমার বিষয়টি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে বিরোধীয় জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষ আবু সৈয়দ আহম্মদ, মো. আবু হানিফ আসিফ গং জোরপূর্বক নালিশি জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মো. আবু হানিফ প্রকাশ আসিফ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি। তবে বিবাদীরা আদালতের নির্দেশনা পেয়ে যথারীতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।’
https://slotbet.online/