খালেদ হাসান, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে জন সাধারণ কে উস্কে দিয়ে পুলিশের হাতকড়াসহ মাদক ব্যাবসায়ীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় মাদক ব্যাবসায়ীর সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্যরা। রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধা ৬ টার দিকে উপজেলার বাবুরহাট এলাকায় হাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই তার সন্ধানে অভিযানে নেমেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। পলাতক হাফিজুর রহমান উপজেলার বাবুরহাট এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। পুলিশ সুএে যানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৫ জানুয়ারি) “ইয়াবা সম্রাট” চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী হাফিজুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবা-সহ হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে আটক করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। পরে আসামীদের পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় পিছন থেকে কে, বা কাহারা পুলিশ টাকা নিয়েছে বলে জন সাধারণ কে উস্কে দিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে কে ছিনিয়ে নেয় মাদক সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্যরা। এরপর পুলিশ পিছু নিলেও ক্ষিপ্ত জনসাধারণের তোপের মুখে আসামি কে ধরা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি সহ ৭ জনকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা এস আই আরিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের টীম সফল ভাবে অভিযান শেষ করেছে ঠিক যে মুহুর্তে মাদক ব্যাবসায়ী হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে কে ভ্যানে তোলার জন্য পুলিশ ভ্যানের কাছে আনা হয়, পিছন থেকে কে,বা কাহারা টাকা লেনদেন হয়েছে বলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দিয়ে জন সাধারণকে উস্কে দেয়, এবং মাদক সিন্ডিকেট এর কিছু কতিপয় সদস্যরা হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে কে ছিনিয়ে নেয়। তিনি আরো বলেন, আমি নিশ্চিত যে সেখানে কোন ধরনের লেনদেন হয়নি, এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব। ভূরুঙ্গামারী, কচাকাটা সার্কেল এ এসপি মাসুদ রানা বলেন, পালিয়ে যাওয়া ওই মাদক ব্যাবসায়ীকে ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন আশেপাশের এলাকায় এখনো অভিযান চলমান রয়েছে।
https://slotbet.online/