আজ (১২ই ডিসেম্বর)রোজ বৃহস্পতিবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংক রোড থেকে নিহত ওসমানের লাশ উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।
নিহত ওসমান শিকদার দক্ষিণ পশ্চিম মেখল রুহুল্লাহ সিকদার বাড়ির নিবাসী জনাব শাহ আলম ও মোতাহেরা বেগম এর ছোট সন্তান।
তিনি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহত ওসমান শিকদারের বড় ভাই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক, জনাব ইমরান সিকদার জানান, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন সরকারি কোয়াটারে বসবাস করতেন তার ছোট ভাই ওসমান সিকদার।
গতকাল ১১ই নভেম্বর রোজ বুধবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ৭-৮ জনের একটি দল তার ভাইকে বাসা থেকে উঠিয়ে নেয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার কোন সন্তান পাওয়া যায়নি। পরে লোকজন বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে। তার মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন হয়েছে।
তিনি বলেন আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আমার ছোট ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত,তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, লোকজন শাহ আমানত বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়, পরে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি । নিহত ওসমান সিকদারকে হত্যা করা হয়েছে।
লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, উক্ত ঘটনার পর মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনা সঙ্গে যারা জড়িত দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
https://slotbet.online/