তাজমহল রোডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চিলড্রেন্স গার্ডেন স্কুল বর্তমানে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার শিকার। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের এক সদস্যের অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার এবং একক আধিপত্যের অভিযোগে শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্কুলটি কোনো ধরনের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় মালিক পক্ষের একজন ওয়ারিশ রেজয়ানুল কবীর ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে তিনি তার নিজের ছোট ভাই এবং তার স্ত্রীকে অপমান করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন। এছাড়াও, ১২ জন মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষিকাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সকল শিক্ষক একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামেন এবং পরীক্ষা বন্ধ করে দাবি জানাতে বাধ্য হন। আন্দোলনে শিক্ষকদের সাথে যোগ দেন অভিভাবকরাও।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, স্কুলের শিক্ষার মান ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলটি বন্ধ করে অন্য ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি মানি লন্ডারিংয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে। পাশাপাশি, মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই বিষয়ে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এত কিছুর পরও শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। অভিভাবকরা স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
https://slotbet.online/