সাতক্ষীরায় ভিসা পেতে ব্যাপক হয়রানির প্রতিবাদে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ ভিসাপ্রার্থীরা।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ইটাগাছাস্থ ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করে কয়েকশ’ ভিসাপ্রার্থী। ভিসা না পাওয়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে, পরে এমন আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরার মুনজিৎপুরের রুস্তম আলী জানান, ‘ভারতীয় ভিসা পাওয়া এখন রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার। কমপক্ষে ২ মাস পার না করলে আবেদন করা যায়না। আবেদন ফি ৮শ’ ৭৫ টাকা। আবেদনের পর ভিসা প্রাপ্তিতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে ২/৩ মাস পরে ভিসাও আসেনা,পাসপোর্ট বইও ফেরত পাওয়া যায় না।’ চিকিৎসার জন্য তার ভারতে যাওয়া খুবই দরকার ছিল বলে জানান তিনি।
একই এলাকার আমিনুর রহমান আলম জানান,‘তিন মাস আগে বই জমা দেওয়া ছিল। এখন বই ফেরত দেওয়া হচ্ছে ভিসা ছাড়াই। এছাড়া ভিসা না দেওয়ার কারণও জানায় না তারা। শুধু তাই নয়, বই জমা দেওয়ার সময় অফিসের কর্মীরা আমাদের সাথে যে রুঢ় আচরণ করে, তা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। সামান্য ত্রুটিতে বই ছুড়ে ফেলে দেয়।’
বিজ্ঞাপন
আশাশুনির শাহাদাত হোসেন জানান, ‘সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন ভিসাকেন্দ্রে লাখ লাখ আবেদন জমা পড়ে। ই-টোকেনসহ প্রতি আবেদনে ১ হাজার ২শ’ টাকা খরচ হয়। ভারত কোটি কোটি আয় করছে, অথচ আমাদের ভিসা দিচ্ছে না। এর জবাব তাদেরকে দিতে হবে।’
আশাশুনির তারকনাথ দাস বলেন, ‘চারমাস ধরে অপেক্ষা করে ভিসা পেলাম না। আমার স্ত্রী খুবই অসুস্থ। তাকে ভারতে নিতে হবে। আমাদের একটাই দাবি ভিসা চাই।’
নামপ্রকাশ না করার শর্তে ভিসা সেন্টারের এক সুপারভাইজার বলেন, ‘ভিসা দিতে বা না দিতে আমাদের হাত থাকেনা। আমরা স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের কথা ঢাকায় জানিয়েছি।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ইটাগাছাস্থ ভারতীয় ভিসা সেন্টারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিছু মানুষকে পাসপোর্ট বই ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকী মানুষদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে জানানো হবে।’
https://slotbet.online/