অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি দূর করতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১০ আগস্ট বিকালে দৌলতপুর থানা চত্বরে এক গুরুত্ববহ আবহে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কাজে ফিরতে দেখা গেছে দৌলতপুর থানা পুলিশকে।
শনিবারের মতবিনিময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ প্রয়াত ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক মোল্লার ছেলে কুষ্টিয়া -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার নেতৃত্বে সভায় অংশ নেয় ভারত সীমান্তবর্তী প্রায় ৫শ’ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দৌলতপুরে দায়িত্বরত পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। অংশ নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় থাকা এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর স্থায়ী ঠিকানা এমন শিক্ষার্থী সংগঠকদের অনেকেই।
এসময় বক্তারা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে আগামীর করণীয় প্রসঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। সভায় অংশ নিতে দেখা গেছে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক, প্রয়াত খাদ্য প্রতিমন্ত্রী কুরবান আলীর ছেলে শাহরিয়ার জামিলকে। অংশ নিয়েছিলেন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল্লাহ সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাও। আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিকবৃন্দও।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটা স্বাধীনের পর শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেনি, পুরো জেলা ব্যাপী তারা সৌন্দর্য্য বর্ধন, শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্নতা, বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে কাজ করছে। অল্প সময়ের নোটিশে এই সভায় সব ভাই-বোনদের সাথে আলোচনা করে অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি, শিগগিরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একটি মতবিনিময় জরুরি সভা ডাকা হবে, সেখানে আগামী পরিচালনা সংক্রান্ত নানা দাবি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে সকলের সাথে।
শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পলায়নের পর রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা আকস্মিক ভাবে ভেঙে পড়ে, পরবর্তীতে দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে স্বাভাবিক রূপে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশ, প্রফেসর ডক্টর ইউনূসকে প্রধান করে অন্ত:বর্তীকালীন সরকার চালু হলে ফিরতে শুরু করে আরও স্থিতিশীলতা। এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-জনতা, সকল রাজনৈতিক দলের নেতা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক সৃষ্টি করার।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির তত্বাবধানে নিরাপত্তা ফেরাতে মাইকিং সহ সামাজিক সচেতনতা মূলক নানা কাজ ও দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়। পুরোদমে মাঠে কাজ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল এবং থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। স্থিতিশীল স্বস্তি ফেরাতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষার্থী-জনতা।
https://slotbet.online/