সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থাায় জেলার অরক্ষিত নদীতীর এলাকায় ভাঙ্গনের আশংকা করছে স্থাানীয়রা। তবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষনিক সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবো’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখলেসুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মেঘাই স্পার বাঁধ, শাহজাদপুরের হাঁটপাটিল ও চৌহালী উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোর প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছি। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এসব অঞ্চল নজরদারিতে রেখেছেন। যে কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জিওব্যাগ বা জিওটিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুরের মেঘাই স্পার বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া অঞ্চলের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিাত ছিলেন। এরপর বিকেলে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে একই সময়ে ১৯ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর পানি বাড়ার আশংকা নেই। তাই জেলায় বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৯টি পরিবারের ৯৪ হাজার ২১৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ১০০ মে. টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ১২০০ মে.টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৭শ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।
https://slotbet.online/