নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিয়ের প্রলোভনে বন্ধুর বাড়ীতে ও হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগে আটক ফাতিন ইসরাক অর্ক ও কলেজ ছাত্রী পরিবারকে হুমকি দাতা তার বাবা যমুনা ডিগ্রী কলেজের দুর্নীতিবাজ উপাধ্যক্ষ জাকির হোসেন ও ধর্ষকের খালু যমুনা কলেজের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ফারুকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছেন ধর্ষনের শিকার পিতাহারা অসহায় কলেজ ছাত্রী। পিপলস নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে এ দাবী করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাতী গ্রামের বাসিন্দা ও শহরের ইসলামীয়া কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী এই ছাত্রী। আর ধর্ষকের বাবা যমুনা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রভাবশালী জাকির হোসেন ও তার খালু আনোয়ার হোসেন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন কলেজ ছাত্রীর মা ও ভাই।
ধর্ষনের শিকার কলেজছাত্রী বলছেন, প্রায় ৮ মাস আগে ফেসবুক ও মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শহরের ১নং খলিফাপট্টির বাসিন্দাযমুনা ডিগ্রী কলেজের উপাধক্ষ্য জাকির হোসেনের ছেলে ছাত্রদল কর্মী ফাতিন ইসরাক অর্কের। প্রেমের সুবাদে ২০শে জুন অর্ক কলেজ ছাত্রীকে জরুরী কথা আছে বলে চন্ডিদাসগাঁতী বাজারে আসতে বলে। পরে ওই ছাত্রী চন্ডিদাসগাঁতী বাজারে আসলে তাকে মোটরসাইকেলের পিছনে বসিয়ে পাশ্ববর্তী রায়গঞ্জে তার বন্ধুর বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং সেখানে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। পরের দিন বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের সেঞ্চুরী আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওঠে এবং একাধিকবার ধর্ষন করে। দুদিন পর অর্কের বাবা জাকির হোসেন তাদের দুজনকে বিয়ে দিবে আশ্বাস দিয়ে শহরের ২নং খলিফা পট্টির বাড়ীতে যেতে বলেন। বাড়ীতে গেলে অর্কের বাবা জাকির হোসেন কলেজ ছাত্রীকে মারপিট, গালিগালাজ ও গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। পরদিন আবারো ডেকে নিয়ে গিয়ে দুজনকে থানায় বসে সামাজিকভাবে বিয়ে দেবার কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু বিয়ে না পরিয়ে প্রভাবশালী জাকির হোসেন তালবাহানা শুরু আমাদের নানা হুমকি দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক থানায় মামলা করলে পুলিশ অর্ককে আটক করে। কলেজ ছাত্রীর দাবী, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে আর কোন মেয়ে এভাবে ধর্ষনের শিকার না হয়।
আর কলেজ ছাত্রীর মা হুসনে আরা জানান ও ভাই মামুন বলছেন, কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় ৪ বছর আগে মারা গেছে। আমরা গরীব মানুষ। আর অর্কের বাবা উচ্চবিত্ত ও প্রভাবশালী। অর্ক নানা প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। মামলা করার পরই অর্কের বাবা ও খালু নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। মা ও ভাই তাদের একমাত্র মেয়ের ধর্ষনকারীর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে। মেডিকেল প্রতিবেদন পেলেই দ্রুতই আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
https://slotbet.online/