সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর থানার দক্ষিণের যমুনা তীরবর্তী প্লাবিত ও ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এনায়েতপুর স্পারবাঁধ থেকে নৌকা যোগে হাট পাঁচিল এলাকা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যাপ্রবণ উপজেলায় প্রায় ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ৬৯৫ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। ‘পাশাপাশি নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বন্যাকবলিত হলেও আতঙ্কের কারণ নেই। বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, কাজিপুর, বেলকুচি ও চৌহালি উপজেলার প্রায় ২৫টি ইউনিয়নের নদীপাড়ের নিচু ও চর এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে গত ৬ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২.৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, পিআইও রাশেদুল ইসলাম, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ ও খুকনী ইউপির চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্পের এসডিই মিল্টন হোসেন, এসও আব্দুল ওয়াহাব সহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
https://slotbet.online/