শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা মিচেল মার্শদের কাছে পাত্তাই পায়নি নামিবিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ১৭ ওভারেই ৭২ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। এ রান তাড়ায় খুব বেশি বেগ পেতে হলো না অস্ট্রেলিয়াকে। মাত্র ৩৪ বল ব্যাটিং করে ৯ উইকেটের বড় জয়ে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটের জয়ে হাতে ছিল ৮৬ বল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে বলের হিসেবে জয়ের তালিকায় এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। এ তালিকায় সবার ওপরে শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯০ বল হাতে রেখে জিতেছিল লঙ্কানরা। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বড় ব্যবধানের জয়টা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০২১ বিশ্বকাপে দুবাইয়ে ৮২ বল হাতে রেখেই ম্যাচের ইতি টেনেছিল অস্ট্রেলিয়া।
নামিবিয়ার দেওয়া ছোট লক্ষ্যকে সামনে পেয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য তিনজনের বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। তিনজনই ব্যাটিং অন্তত ২০০ স্ট্রাইকরেটে।
ওয়ার্নার উইকেটে টিকে ছিলেন মাত্র ৮ বল। দ্বিতীয় ওভারে ডেডিভ ভিসাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা একই গতিতে রাখেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। দুজনের ২৪ বলে ৫৩ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই জয়ের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। হেড ১৭ বলে ৩৪ ও মার্শ ৯ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে বল হাতেও দুর্দান্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। হ্যাজলউড-প্যাট কামিন্স-মার্কাস স্টয়নিসদের সামনে রীতিমতো সংগ্রাম করছিলেন নামিবিয়ার ব্যাটসম্যানরা। তিন পেসারের তোপে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারায় দলটি। তখন স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৭ রান। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৭৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। পাওয়ার প্লেতে দু দলের রানের ব্যবধান ৫৭। এটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে দুদলের সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধান।
পাওয়ার প্লের বিপর্যয় সামলাতে উইকেটের এক প্রান্তে ঢাল হয়ে দাঁড়ান নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। কিন্তু অন্যপ্রান্তে চলে সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিল। তবে নামিবিয়াকে ধসিয়ে দেওয়ায় বল হাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন জাম্পা। মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন এ লেগস্পিনার। এছাড়া হ্যাজলউড, স্টয়নিস দুটি করে এবং কামিন্স ও নাথান এলিস একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
নামিবিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক এরাসমাস। স্টয়নিসের বলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ রান করেছেন ওপেনার মিচেল ফন লিঙ্গেন।
https://slotbet.online/