মোহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে যতো কিছু উৎপাদন হচ্ছে তাদের পিছনে আছে দেশ ও প্রবাসের সকল মেহনতি শ্রমিক ভাই বোনদের অক্লান্ত পরিশ্রম। শ্রমিকরা উৎপাদন করে এই বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের নিষ্ঠা, খাম বাড়ানো কঠোর পরিশ্রম ও সহযোগিতা ছাড়া প্রতিটি উন্নবানই অসম্পূর্ণ থাকে। ১৮৮৬ সালের এই দিনে আমেরিকার শিকাগোতে শ্রমিকরা তাদের অধিকারের জন্য আত্যত্যাগ করেছিলেন। সেই অনুপ্রেরণায় বিশ্বের প্রমিক সমাজ আজও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সেই আন্দোলন এখনও পুরোপুরি সফল হয়নি। প্রায়শই শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন-ভাতার পাখিতে রাস্তায় নামরে দেখা যায় এবং ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে অনেককে জীবনও দিতে হয়। আজ (১’লা মে ২০২৫) বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে দেশ ও প্রবাসের সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দৈনিক খবর বাংলা 24 ও আজকের নতুন সংবাদ ও কক্সবাজার উন্মুক্ত সংবাদ । দেশ ও প্রবাসের সকল মেহনতি শ্রমিবাদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি হলেন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য-শ্রমিক-মালিক গড়হ দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন। শ্রমিকদের দাবির প্রতি প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। (১লা মে ১৬৮৬) সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটে ৮ ঘন্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে সে ভলিতে ১১জন শ্রমিক শহীদ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এইদিন পালিত হয় না। ছাড়া এইদিনে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে যা আঞ্চলিক ভাবে হয়তো পালিত হয়। পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় (১লা মে ১৮৮৬) সালে কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ সারী মেনে নেননি। (৪ঠা মে ১৮৮৬) সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশান প্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ করে দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ
সদস্য নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় অগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক নিচারের পর (১১ই নবেম্বর ১৮৮৭) সালে উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাক্ষন্তরে আহত্যা করেন, অন্য একজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। খান সেলিম রহমান আরও বলেন, (২৬শে জুন ১৮৯৩) ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাদ বলে ঘোষণা দেন, এবং বায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচ্যা কখনোই প্রকাশ পায়নি। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের ‘দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার’ দানী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। এবং (১লা মে। যা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে, পৃথিবীব্যাপী আজও তা পালিত হয়। শ্রমজী গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করে ১৯৮০ সাল থেকে মানুষের আন্দোলদের উক্ত প্রপ্রতি বছরের (১লা মে) বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে (মে দিবস না আন্ত জাতিক শ্রমিক দিবস)। (১ মে) সেই আন্দোলনের কথাই আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয়। (১৪ই জুলাই ১৮৯০) সালে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে (১’লা মে) শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেনী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে। রাশিয়াসহ পরবর্তীকালে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (অরগানাইজেশন বা আই.এল.এ) প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে প্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে এবং সকল দেশে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানায়। এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষন করে। বাংলাদেশ (আই.এল.ও) কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেনীর প্রাধান্যের কারনে অধিকাংশ সমাজতান্ত্রিক দেশে বেশ গুরুত্বও সংকল্প সহকারে (মে দিবল) পালন করা হয়। বাংলাদেশে মে দিবসে সরকারি ছুটি পালিত হয় এবং বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে, সকল মেহনতি শ্রমিক ভাই বোনরা (মে দিবস) পালন করেন। হঠাৎ যদি পুরো বিশ্বের সব শ্রমিক অদৃশ্য হয়ে যায় তবে বিশ্ব ধমকে যাবে। আসুন আমরা সকলেই এটি অনুধাবন বারি এবং আসুন শ্রমিকদের সম্মান করি, এই দুর্দান্ত মানুষরাই আমাদের বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার মাধ্যমেই কমিক সমাজের প্রকৃত মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে এবং মালিকদের আর্থও সংরক্ষিত হতে পারে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা তাদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই পরিশোধ করার বিষয়ে রাসুল (সাঃ) আলাইহি ওয়া সাললাম, জোর তাগিদ দিয়েছেন। শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষায় রাসুল (সাঃ) আলাইহি ওয়া সাললামের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মধ্যেই মালিক-শ্রমিক উভয়ের কল্যাণ রয়েছে।
https://slotbet.online/