আরমান হোসেন ডলার (বিশেষ প্রতিনিধি) বগুড়াঃ- বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ৫ই আগস্টে আগে যাদের কোন ভূমিকা ছিল না তারা এখন বগুড়ার মত জায়গায় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) এর বিশাল বড় নেতা বনে গেছেন।
ছবি গুলোতে গোল চিহ্নিত করা ব্যক্তি আলামিন বকশি, সজীব মিয়া, রেডিওলজি ডিপার্টমেন্টের মাহবুব, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ সোহেল রানা, মোঃ লেমন, প্রমুখ ইনারা ৫ই আগস্ট এর আগে কোন রাজনৈতিক দলীয় কর্মকাণ্ডে কখনো উপস্থিত ছিলেন না, এমনকি এম-ট্যাবের কোন কমিটিতে সদস্য হিসেবে লিস্টে তাদের নাম ছিল না। হঠাৎ ৫ই আগস্টের পরে ইনারা বিএনপি’র বিশাল বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অথচ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাশাসক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এদের মধ্যে কিছু লোকের আওয়ামী লীগের পদধারে নেতাদের সঙ্গে ছবিও আছে বিদ্যমান।
এই বিষয়ে বিগত দিনে যারা সংগঠনের দায়িত্বরত ছিলেন (সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক সহ আরো অনেকেই) যারা দলের দুঃসময়ে মামলা হামলার ভয় উপেক্ষা করে প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন, নিয়মিত প্রোগ্রাম করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় কোন এক অলৌকিক শক্তির বলে কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু সিনি নেতাদের একান্তই মদদে বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মাহবুব সাহেব এই অপকর্ম কান্ড গুলো চালিয়ে যাচ্ছে।
যদিও এর আগে মাহবুব সাহেব এম-ট্যাবের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে (৫ই আগস্টে পরে) আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে প্রোগ্রামের ছবিসহ নিউজ হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় কমিটি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই বরং সে এখনো এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে করে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিলেন সুসময়ে যাদের অগ্রধিকার সবার আগে পাওয়ার কথা সেইসব ত্যাগী নেতৃবৃন্দরা চরম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন দেশ নায়ক তারেক রহমান বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কতিপয় কিছু স্বার্থলোভী নেতারা টাকার বিনিময় সহ অন্য সুযোগ সুবিধার বিনিময় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাও আবার বগুড়ার মত জায়গায়। এতে করে বিএনপির রাজনীতিতে বগুড়ার যে আঁতুড়ঘড় এটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তেছে, সারা বাংলাদেশের তৃণমূল বিএনপি’র কাছে।
তাই তৃণমূল নেতাকর্মীরা আহ্বান করেছেন, বিষয়টি অতি দ্রুত কেন্দ্রয়ী-বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ এইসব অপকর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। এতে করে বগুড়ার মান সম্মান রক্ষা হবে বলে তারা মনে করেন।।
https://slotbet.online/