অগ্রহায়নের শীতের দাপটে কাঁপছে বরিশাল। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। যা প্রায় স্বাভাবিকের কাছাকাছি হলেও হালকা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্য মাঝেমধ্যে আড়ালে চলে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বাড়ছে। ফলে ছিন্নমূল থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর দুর্ভোগের সীমা নেই।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, যা ছিল স্বাভাবিকের প্রায় ৫ ডিগ্রি নিচে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শীতের দাপট বাড়ার পূর্বাভাস মিলছিল। আবহাওয়া বিভাগের হিসেবে নভেম্বরে বরিশালে সর্বনিম্ন স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। পাশাপাশি চলতি মাসে স্বাভাবিক ৬ মিলিমিটারের স্থলে বরিশালে ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে বরিশালে স্বাভাবিকের ৭৩ ভাগ কম, মাত্র ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলতি মাসে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ১–২টি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর তা থেকে একটি নিম্নচাপসহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি এ মাসের মধ্যভাগের পরে বরিশালসংলগ্ন পশ্চিমাংশে ৬–৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।
ইতিমধ্যে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমন কর্তনের মৌসুম শুরু হওয়ায় অগ্রহায়নের সাত সকাল থেকেই মাঠে মাঠে ফসল কাটার ধুম চলছে। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকদের অবিশ্রান্ত ব্যস্ততা চোখে পড়ে।
এবার খরিপ–২ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে আবাদকৃত প্রায় ৯ লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ২৪ লাখ টন চাল পাওয়ার লক্ষ্যে এখন মাঠে মাঠে সোনালি ধান কাটার ব্যস্ত সময় চলছে। পাশাপাশি চলতি রবি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে অন্তত ১৭ লাখ টন শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষিযোদ্ধারা সকাল–সন্ধ্যা কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে শীতের কামড় জনস্বাস্থ্যসহ ফসলের মাঠে কী পরিস্থিতি তৈরি করে—সে দিকেও নজর রয়েছে কৃষকসহ সবার।
https://slotbet.online/