স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি আবাসন প্রকল্প ‘পল্লী জনপদ, রংপুর’ বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে দুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।বর্তমানে এর প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মারাত্মক দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যার ফলে ২৭২টি ফ্ল্যাটের মালিক এবং আশেপাশের কৃষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ফসলি জমিতে নোংরা জল, আবাদ নষ্ট:
জানা যায়, সরকারি উদ্যোগে নির্মিত এই প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ত্রুটিপূর্ণ। ফ্ল্যাটগুলোর জল নিষ্কাশনের কোনো স্থায়ী সমাধান না থাকায়, আবর্জনামিশ্রিত জল উপচে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের নিচু জমি ও ফসলি জমিতে চলে যাচ্ছে। এর ফলে অনেকের মূল্যবান ফসলের আবাদ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা বারবার জনপদে এসে প্রতিকার চাইলেও, ফ্ল্যাট মালিকরা নিজেরা সমস্যার শিকার হওয়ায় তাদের করার কিছুই থাকছে না।
বর্ষায় জলমগ্ন রাস্তা ও মাঠ:
কেবল পার্শ্ববর্তী কৃষকরাই নন, ফ্ল্যাট মালিকদেরও দুঃখের সীমা নেই। বিশেষত বর্ষা মৌসুমে প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাট এবং খেলার মাঠ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভিতরের রাস্তায় পানি পেরিয়ে ফ্ল্যাটগুলোতে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা বজায় থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে পল্লী জনপদ হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা এই সমস্যা নিয়ে বারবার বগুড়া আরডিএ-কে (RDA) লিখিতভাবে জানিয়েছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধানের জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। একটি সরকারি প্রকল্পের এমন বেহাল দশা ও কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না।”
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যা স্থানীয় আবাসন এবং কৃষি ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ভুক্তভোগী ২৭২টি পরিবারের সদস্যরা অবিলম্বে বগুড়া আরডিএ এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার স্থায়ী ও কার্যকরী সমাধান না হলে ফ্ল্যাট মালিক ও কৃষকদের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
https://slotbet.online/