চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের আওতাধীন “আনোয়ারা-বাঁশখালী-টইটং-পেকুয়া-বদরখালী-চকরিয়া (ঈদমনি)” (আর-১৭০) আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রসস্থ করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বরাবর এ স্মারকলিপি জমা দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য, জুলাই যোদ্ধা ও সমাজকর্মী মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও এডিশনাল পিপি ইফতেখার হোসেন মহসিন, এডিশনাল পিপি এডভোকেট মফিজুল হক, এডভোকেট সরওয়ার কামাল, আইনজীবী দৌলত আকবর, এডভোকেট আরিফুল হক তায়েফ, চট্টগ্রাম মহানগর ওলামা দলের সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন, তরুণ লেখক ও কলামিস্ট তৌহিদ-উল বারী, ব্যবসায়ী সিরাজুল করিম মানিক, জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ সাগর, জুলাই যোদ্ধা আরাফাতুল ইসলাম, মোহাম্মদ দেলোয়ার, মোহাম্মদ মাহফুজ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ ৮ উপজেলার লাখো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। একই সঙ্গে শিল্পকারখানা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, বন্দর, কৃষিজ পণ্য, লবণ, চিংড়ি, সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ, চা পাতা ও পর্যটনশিল্পের পরিবহন নির্ভর করে এই সড়কের ওপর। সড়কটি চার লেনে প্রসস্থ করা হলে চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-মহেশখালী-কুতুবদিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ট্যানেল বর্তমানে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে প্রত্যাশিত সুফল দিতে পারছে না।
প্রতিদিন প্রায় ২৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়ে টানেল পরিচালনা করতে হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের জন্য লোকসানের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া-চকরিয়া-কক্সবাজার মহাসড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করার দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, কর্ণফুলী টানেলের সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে এ প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।
https://slotbet.online/