জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসহাব উদ্দিন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌসিব উদ্দিন তার হাতে সম্মাননা সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
যৌবনের শুরু থেকেই শখ করে মৎস্য চাষে আগ্রহী আসহাব উদ্দিন ১৯৯৫ সালে পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ শুরু করেন। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি পূর্ণাঙ্গ মৎস্যচাষী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আসহাব ফিস এন্ড এগ্রো ফার্ম লিমিটেড’। বর্তমানে প্রায় ৭৫ একর এলাকায় মাছ চাষ করছেন তিনি। এখান থেকে বার্ষিক প্রায় ১২ শত মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করেন। পাশাপাশি তার ঘেরে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন প্রায় ৬০ জন শ্রমিক।
আসহাব উদ্দিন বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মৎস্য অফিসের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে চাষ শুরু করি। ধাপে ধাপে ব্যবসার প্রসার ঘটে আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে জাতীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরে গর্ববোধ করি।”
তবে চাষীদের বর্তমানে সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, “মাছের খাদ্যের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খাদ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, মাছের দাম সে হারে বাড়ছে না। তাই চাষীদের জন্য জামানতবিহীন স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, “আমি একজন সফল ব্যবসায়ী এটা উপজেলা প্রশাসন স্বীকৃতি দেওয়ায় আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তবে অতীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনেকবার পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তৌসিব উদ্দিন বলেন, “সফল মৎস্যচাষী নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন মানদণ্ড রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে দেখা গেছে চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন শুধু নিজে প্রতিষ্ঠিত হননি, বরং বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তিনি এই অঞ্চলের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।”
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে সফল মৎস্যচাষীর সম্মাননা পেয়ে চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন এখন বাঁশখালীবাসীর কাছে অনুকরণীয় উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন।
https://slotbet.online/