নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি.আই.ও) কার্যালয়ের একজন সাধারণ কর্মী হলেও, নিজের কর্মদক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও বিনয়ের জন্য অসাধারণ একজন মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন অফিস সহায়ক মোঃ লিটন।
সম্প্রতি কিছু ভিত্তিহীন নেতিবাচক প্রচারণার শিকার হলেও, বাস্তবতার আলোকে মোঃ লিটনের সম্পর্কে ভিন্ন এক চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি প্রতিদিন যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত হন এবং নিজের দায়িত্বগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। অফিসের ফাইল গোছানো থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া—সব কাজেই তিনি রাখেন দক্ষতার ছাপ।
স্থানীয় প্রশাসনের অনেকেই তাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাকিনুর রহমান (আবু) তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেন:“আমি এতোদিন ধরে চেয়ারম্যানি করে আসতেছি, চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে পি.আই.ও অফিসে আমার নিয়মিত যাতায়াত। কিন্তু অফিস সহায়ক লিটনের বিনয়ী আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। সে কখনোই কারো কাছে কোনপ্রকার উৎকোচ বা চা মিষ্টি খাওয়ার টাকা চায়নি। এমন একজন অফিস সহায়ক সত্যিই বিরল।”
অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জানিয়েছেন, লিটনের ব্যবহারে কখনো কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। কারো সাথে অসদাচরণ করেননি কখনও। সকলকে সমান সম্মান দিয়ে কথা বলেন, সহানুভূতির সঙ্গে সহায়তা করেন।
এক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “লিটন ভাই সবসময় হাসিমুখে থাকেন। কখনো তার মধ্যে বিরক্তি বা রূঢ়তা দেখিনি। উনার মতো কর্মঠ ও ভদ্র কর্মী আমাদের অফিসে এক আশীর্বাদ।”
প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়া না সত্ত্বেও, লিটনের মতো একজন অফিস সহায়ক তার আচার-আচরণ, নৈতিকতা এবং সততার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, পদ বড় না হলেও মন বড় হলে এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে সাধারণ একজন মানুষও হতে পারে অসাধারণ।
যেখানে নানা অফিসে নানা অভিযোগ লেগেই থাকে, সেখানে মোঃ লিটনের মতো একজন নিষ্ঠাবান কর্মী যেন এক পশলা প্রশান্তির বৃষ্টি। আমাদের সমাজে এমন কর্মীদের উৎসাহিত ও সম্মান জানানো জরুরি, যারা নীরবে-নিভৃতে তাদের দায়িত্ব পালন করেন দেশের উন্নয়নের জন্য।
আমরা আশা করি, অফিস সহায়ক মোঃ লিটনের এই ইতিবাচক দৃষ্টান্ত আরও অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
https://slotbet.online/