ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আমন চারার পূর্ণাঙ্গ বয়স হওয়ায় ইতোমধ্যে চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন তারা। সারাদিন মাঠে হাড়ভাঙা পরিশ্রমেও যেন ক্লান্তি নেই তাদের।
কৃষকরা জানান, দু’এক দিনের বৃষ্টিতে জমিতে কিছুটা পানি জমেছে তাতে আমরা জমি প্রস্তুুত করছি। কেউ কেউ চারা রোপন শুরু করেছেন। কৃষকরা সকাল-সন্ধ্যা মাঠে কাজ করছেন। তারা জানান, সামনে বৃষ্টি না হলে আমন রোপনে সেচ দিতে হবে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান রোপন শেষ হবে।
উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের কইকুড়ি বিলের কৃষক সুবহান ও এরশাদ বলেন, এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপণ করা হয়। সেই চারা আমনের জমিতে রোপণ করা হয়। এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা আমন চাষের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের হাসেম আলী বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আমন ধান লাগাবো। এসব জমিতে বিঘা প্রতি চারা রোপণে দিনমুজুর খরচ ২৫০০-৩০০০ টাকা, হালচাষ ১২০০ টাকা, সেচ, সার, বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা প্রর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল জব্বার দিনকাল কে বলেন, এবার উপজেলায় ১৬ হাজর ৯০০হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এ পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদী আমন ধান বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব আগাম জাতের ধান কর্তন করে কৃষকরা যাতে আগাম জাতের সরিষার ও সবজির চাষাবাদ করতে পারেন তার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠে আছেন তারা কৃষকদের উদ্বদ্ধু করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
https://slotbet.online/