মোঃ আবু জাহিদ
(স্টাফ রিপোর্টার)

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ওসি মাহাতাব উদ্দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকার বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কাছে তিনি ছিলেন এক আতঙ্কের নাম।

তার বিরুদ্ধে জামায়াত, বিএনপিসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তিদের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একারণে তাকে অনেকে নাম দিয়েছিলেন, নরপিশাচ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মানিকহারে। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন, চালাক এবং ধূর্ত প্রকৃতির। ছাত্র জীবনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী নেতাও ছিলেন। একারণে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার খুবই আস্থাভাজন ও কাছের মানুষ ছিলেন তিনি।

ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার ওসি ছিলেন মাহাতাব। গত ২০১৬ সালে উপজেলার জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী পান্নাকে গুম করে হত্যা ও তা সড়ক দূর্ঘটনা বলে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ৮ বছর পর ওসি মাহাতাবসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার।

পুলিশ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মাহাতাবের চাকরি জীবনের উদ্দেশ্য ছিলো, স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট সরকারের মনোবাসনা পুরন করা এবং নিজে অর্থ সম্পত্তির মালিক বনে যাওয়া। এখনো সবাই তাকে প্রভালশালী পুলিশ অফিসার হিসেবেই চিনে জানে। তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পাই।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় এই মাহাতাব ছিলেম গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার দায়িত্বে। বর্তমানে আছেন নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে। আরাম আয়েশ করেই পার করছেন দিন, নেই কোনো ব্যস্ততা।

৫-ই আগষ্টের পরে, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে, এতে চাকরি তে পড়ে নি কোনো ধরণের প্রভাব, আছেন ও বহাল তবিয়তে। তার নামে বেনামে রয়েছে অঢেল ধন সম্পত্তি।

চাকরিতে বহাল তবিয়তে থাকার কারনে, অভিযোগগুলোর সঠিক তদন্তে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাহাতাব উদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দৈনিক নবদেশ২৪ অনুসন্ধানী টিম। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এমনকি তাকে মেসেজ পাঠালেও কোন উত্তর মেলেনি।

মাহাতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও নানা অপকর্মের তথ্য রয়েছে এবং আসছে। আমাদের অনুসন্ধান চলমান।