চিতলমারী বাগেরহাট প্রতিনিধি-

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন জালিয়াত কারী মোসারপ হোসন মোল্লাকে অবশেষে যৌথ বাহিনী অভিজান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।
বড়গুনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মৃতঃ নওয়াব আলী মোল্লার পুত্র মোসারফ হোসের মোল্লা(৫৮) কে যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিজান চালিয়ে চিতলমারী সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার স্ত্রী পেয়ারা সুলতানা পালিয়ে গেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী বড়গুনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তির জামাতা মোহাম্মদ সাহাজাহান এর আপন বড়ো ভাই প্রবাসী মোঃ হান্নান মুন্সি, পিতা: হেমায়েত উদ্দিন মুন্সি এর বাড়ি ঘর দেখাশোনা করে। চিতলমারী আড়ুয়াবর্নী মৌজার এস এ ১২ নং খতিয়ানের ১৮৭ নং দাগের ০.১৪০০ একর জমি ১০/১২/২০০২ সালে চিতলমারী সাব: রেজিষ্ট্রেশন অফিস থেকে ৩১৪৫ নং কবলা দলিল করে পাকা বাড়ি ঘর তৈরি করে শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করে আসছিলো। গত ইং-০৬/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমানিক ৯:১৫ মিনিটে  চিতলমারী থানাধীন আড়ুয়াবর্নী গ্রামস্ত আব্দুল হান্নান মুন্সির বসত বাড়ি জালিয়াত কারী মোসারফ হোসেন মোল্লাসহ অগ্যাতনামা ৩/৪ জন আসামি তাদের জমি বলিয়া দাবি করে। এবং মোসারফ হোসেন মোল্লার স্ত্রী পেয়ারা সুলতানার নামে ১৬/০৩/২০১৭ সালের ৫০৫৯ নং একটি কবলা দলিল যার দাতা ফনিভূসন মন্ডল, পিতা: রবিন্দ্রনাথ মন্ডল সাং- সোনাতলা, থানা- বাগেরহাট সদর, জেলা- বাগেরহাট তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেন। উক্ত দলিলের ফটোকপি নিয়ে সিরাজুল ইসলাম ও তার আত্তিও স্বজন ফনিভূসনের বাগেরহাট সোনাতলার ওই ঠিকানায় খোজ খবর নেন। এক পর্যায়ে দেখা যায় ফনিভূসন মন্ডল নামে কাউকে ওই গ্রামের কেউ চেনেনা, আর কখনো দেখেনি। তারা খোজ নিতে যেয়ে আরো দেখতে পায় ফনিভূসনের নামে উক্ত মোসারফ হোসেন মোল্লা জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন। উক্ত পরিচয় পত্র নং-১৯৪৮০১১১৪৩১১০৫৭৭৮।
গত ০৮/০৬/২০২১ তারিখে ০৩ নং ওয়ার্ড (সাবেক) পৌর কাউন্সিলর খান আবু বক্কর এর দেয়া প্রত্যয়ন পত্রে বলা হয়েছে ফনিভূসন ওরফে মনি মোন্ডল, পিতা: মৃত মনিন্দ্রনাথ মন্ডল নামে তার ওয়ার্ডে কখনো ওই লোক বসবাস করতেন না।
সিরাজুল ইসলামের দেওয়া অভিযোগে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাদাত হোসেন জানান অভিযোগ পেয়ে একটি মামলা রুজু করেছি। মামলা নং-০৭, তারিখ- ২৯/১২/২০২৪।