নিজেস্ব প্রতিবেদক, ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম): মোবাইল ফোনে পরিচয়-প্রেম। পরে বিয়ে। তবে এই বিয়ের উনিশ দিন পার হতেই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) উপজেলার দেওয়ানের খামার গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ার সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় । এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রুবেল মিয়া(৩২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নববধূর নাম বিজলী খাতুন (২৬)। তিনি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার পূর্ব ভেলাবাড়ি গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে। শুক্রবার (৬ জুন) মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ তিলাই (ঢাকাইয়া পাড়া) গ্রামের রুবেল মিয়ার (৩২) সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার পূর্ব ভেলাবাড়ি গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে সৌদি প্রবাসী বিজলী খাতুনের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিজলী সৌদি আরব থাকা অবস্থাতেই রুবেল প্রতারণর আশ্রয় নিয়ে মোবাইল ফোনেই বিয়ে করেন। ৬ মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন বিজলী। গত ১৮ মে রুবেল বিজলীকে ভুরুঙ্গামারীতে ডেকে এনে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকাবস্থায় বিজলী জানতে পারেন রুবেল বিবাহিত তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নববধূর সাথে রুবেলের কলহ শুরু হয়। এক পর্যায় বিয়ের ১৯ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে বিজলী আত্মহত্যা করে। পরে খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ওই নববধূর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
https://slotbet.online/