নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মানে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে রয়েছে। ফলাফল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম ও আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই এলাকায় আস্থা অর্জন করেছে।
শুধু পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশেও বিদ্যালয়টির ভূমিকা প্রশংসনীয়। সহ-শিক্ষা কার্যক্রম যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, বিতর্ক ও বিজ্ঞান মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আত্মপ্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে তারা হয়ে উঠছে আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল নাগরিক।
এলাকায় নারী শিক্ষার পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে চালু হওয়া ভোকেশনাল শাখা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আধুনিক কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলছে, যা ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়াবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন,
“আমরা শুরু থেকেই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা যেন শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা না করে, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে – সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষায় এগিয়ে আসা দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভোকেশনাল শাখা মেয়েদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করবে।”
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা মনে করেন, কিশোরীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শুধু শিক্ষার মানে নয়, বরং নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায়ও অনন্য ভূমিকা পালন করছে।
https://slotbet.online/