শিক্ষার আলো ছড়াতে যখন শহরের গণ্ডি পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে তাকাতে হয়, তখন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি আজ শিক্ষার গুণগত মানে অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এগিয়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায় বলেন, “আমরা শুধু পাঠ্যক্রম নয়, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা ও বাস্তব জীবনের উপযোগী দক্ষতা গড়ে তোলায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের শিক্ষকগণ আন্তরিকভাবে ক্লাস পরিচালনা করছেন, আর অভিভাবকরাও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এর ফলেই আজ কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় সবার দৃষ্টিতে আলাদা হয়ে উঠেছে।”
বিদ্যালয়ের বিগত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, শুধুমাত্র শহর নয়, গ্রামেও মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব।
অভিভাবক দিপু রাম জানান, “আমার সন্তান এখানে পড়ে এবং আমি নিশ্চিত, সে শহরের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। শিক্ষকরা সবসময় পাশে থাকেন।”
বিদ্যালয়ের দৃষ্টান্তমূলক সাফল্যের পেছনে যেমন শিক্ষকদের নিষ্ঠা রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও ছাত্র-ছাত্রীদের কঠোর পরিশ্রম।
বিশ্লেষণ বলছে, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবন আনতে গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয় সেই পথেই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গ্রামীণ শিক্ষার মানোন্নয়নে এভাবেই রোল মডেল হয়ে উঠুক কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।
https://slotbet.online/