স্টাফ রিপোর্টার:
গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। এই ফলাফলে জামালপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যারা সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, তাদের বিশেষভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, জামালপুর জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে শহরের এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ৩০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি এবং তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনে অনুপ্রেরণা জোগানোর লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জামালপুর জেলা শাখার সুযোগ্য আমির মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আজকের এই অর্জন তোমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। শুধু পাঠ্যপুস্তকীয় জ্ঞান নয়, বরং নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান হয়ে তোমাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। তোমরাই আগামী দিনে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।” তিনি আরও যোগ করেন, “শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর কৃতি শিক্ষার্থীরা সেই মেরুদণ্ডকে আরও সুদৃঢ় করে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সাবেক জেলা আমির জনাব মুকাদ্দাস আলী। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “তোমরা কেবল একটি পরীক্ষার বৈতরণী পার হওনি, বরং ভবিষ্যতের বিশাল ক্যানভাসে নিজেদের স্বাক্ষর রাখার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছ। তোমাদের স্বপ্ন বড় হতে হবে, আর সেই স্বপ্ন পূরণে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। জাতির প্রয়োজনে তোমাদের অবদান অপরিহার্য।”
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, জামালপুর জেলা শাখার সংগ্রামী সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে তিনি কৃতি শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিবিরের পক্ষ থেকে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। তিনি বলেন, “ছাত্র শিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের মেধা বিকাশে এবং আদর্শিক জীবন গঠনে সহযোগিতা করে আসছে। আজকের এই সংবর্ধনা তারই একটি অংশ। আমরা আশা করি, তোমরা আগামী দিনে তোমাদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের জেলা প্রকাশনা সম্পাদক আবু সায়েম এবং মেলান্দহ উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনের জন্য শুভকামনা জানান। এই সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে এবং তাদের শিক্ষাজীবনে আরও ভালো করার প্রেরণা জুগিয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।
https://slotbet.online/