বি এম আবুল হাসনাত, স্টাফ রিপোর্টার:

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করা বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বন্দীদের স্বজনরা। ১৫ (জানুয়ারী) বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্বেরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগ করে আসছেন শত শত সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছর হাসিনা সরকারের সময় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় চার দেয়ালের অন্ধকারে জীবন অতিবাহিত করে আসছেন তারা। ২০ বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে বন্দি থাকার ফলে তাদের পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়েছে। তাছাড়া বন্দি অবস্থায় পর্যাপ্ত খাবার ও চিকিৎসার অভাবে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে বন্দিগণ।

কারাবিধি ৫৬৯ মোতাবেক রিয়াদত সহ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে কারাবাসে থাকা আসামীদের মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী সরকারের আমলে তা করা হয়নি।

মানববন্ধনে মাহমুদ হাসান রনির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির।

প্রধান বক্তা মনিরুজ্জামান মনির তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের৷ তবে, স্বেরাচার সরকারের পতন হলেও তাদের নির্যাতনের ক্ষত এখনো রয়ে গেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে শত শত মানুষকে। কিন্তু বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগ করা বন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাভোগ করা বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

বন্দীদের স্বজনরা বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে নিরপরাধ সাধারণ মানুষদের। ৫ আগষ্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসেন, কিন্তু বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কিংবা কারাগার থেকে মুক্তির কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অতিদ্রুত আমাদের পরিবারের ভুক্তভোগী যারা বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি রয়েছে তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক।

ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইফতি, দীপ্ত, জিতু, আইরিন বেগম, মাহমুদা বেগম সহ তিন শতাধিক সদস্য।