গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা বন্ধে জাতিসংঘ ও বিশ্বের শক্তিমান দেশগুলোর নীরবতা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে। হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে সম্প্রতি ইসরাইলকে লক্ষ করে প্রায় দু'শ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এইসব ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন, তা স্পষ্ট নয়।
কারণ এ নিয়ে তেল আবিব ও তেহরান পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছে। হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তেহরানকে এ ভুলের চড়া মূল্য দিতে হবে। এদিকে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অপর পরাশক্তি রাশিয়া এ ঘটনার জন্য আমেরিকার নীতির ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে।
আর চীন অবিলম্বে লেবাননে আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া, ইসরাইলের গাজা-লেবাননে হামলার মতো সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী নতুন করে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইউরোপের কিছু দেশের যুদ্ধংদেহী দৃষ্টিভঙ্গি দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছে, যার স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতেও। যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার বৈশ্বিক পরিবেশকেও করে তুলছে দুর্বিষহ। খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় শুরু হয়েছে নানা রকম টানাপোড়েন।
মানবাধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ যে দেশগুলো, তাদের উদাসীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রও স্পষ্ট। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নারী-শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ নির্বিশেষে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হলেও তা বন্ধে বিশ্ব নেতৃত্বের কার্যকর কোনো ভূমিকা এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, গেল বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ শেখ ফরিদ বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩