সিরাজগঞ্জে বন্যা পরস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থির রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৬১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে ৫ সে.মি কমে বিপদসীমার ৫৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে। তবে এখনো জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৩৪ টি ইউনিয়নে নি¤œাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানিবন্দী রয়েছে হাজারো পরিবার। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় যাতায়াত ব্যবস্থাসহ সকল কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিছে। অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার প্রায় ৬ হাজার ৪ শত ৯৭ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। আউশ ধান, পাট, তিল, তিশি ও কলা সহ অন্যান্য ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পানিবন্দী মানুষেরা বলছেন, টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চুলা না থাকায় শুকনো খাবারে নির্ভর করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারী ও বেসরকারী কোনো সহযোগীতা তাদের কাছে পৌছায়নি। এর ফলে কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন তারা।
সিরাজগঞ্জ দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, ৯৫ মে.টন চাল, ৫ লক্ষ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ চলমান রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে পানিবন্দী মানুষেরা আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে স্থান নিয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ শেখ ফরিদ বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩