প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ৩:৩৯ এ.এম
গোদাগাড়ী উপজেলায় বাসুদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন বাণিজ্য নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নে সম্প্রতি একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই টুর্নামেন্টের আড়ালে বিএনপি নেতারা বিতর্কিত ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর শনিবার লস্করহাটি সবুজ সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। এই আয়োজনের সভাপতি ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মোঃ জুলফিকার আলী (ভুট্টু)। খেলার মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফয়েজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাসুদেবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান।
অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চপদস্থ নেতারা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মোঃ হজরত আলী, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ আজিমুস সান (উজ্জল) এবং কৃষকদলের সদস্য সচিব অ্যাডঃ আশরাফ মল্লিক।
সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বিতর্কিত চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলামের উপস্থিতি নিয়ে। গত ৫ই আগস্ট, ২০২৪ তারিখে গোদাগাড়ী মডেল থানা ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল বিএনপির অভিযোগ, এই খেলাটি মূলত নজরুল ইসলামকে আবারও ইউনিয়ন পরিষদে বৈধতা দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যে সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কারণে তারা একসময় এলাকায় থাকতে পারতেন না, এখন তারাই বিএনপি নেতাদের মঞ্চে পাশাপাশি বসে প্রোগ্রাম করছেন। এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, কিছু সুবিধাবাদী মহল উভয় দলের নেতাদের মধ্যে একটি অলিখিত সমঝোতা তৈরি করছে। তৃণমূল বিএনপির নেতারা দলের হাইকমান্ডকে সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন, যাতে এই ধরনের পুনর্বাসন বাণিজ্য বন্ধ করা যায় এবং দলের আদর্শ ও নীতি সুরক্ষিত থাকে।
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে এই ঘটনাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করছেন এটি রাজনীতিতে একটি নতুন ধরনের মেরুকরণ যেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থ দলের আদর্শকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় রাজনৈতিক বিভেদ কমানোর একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন। তবে তৃণমূলের ক্ষোভ এবং হাইকমান্ডের প্রতি তাদের সতর্কবার্তা এই ঘটনার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ শেখ ফরিদ বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সহকারী বার্তা সম্পাদক বি এম আবুল হাসনাত
সাথী সোহেল জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন (আর্তমানবতার সেবায়) নগদ/বিকাশঃ ০১৩০২৪৪৭৩৭৩