

বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী খাসমহল এলাকা পুরাটায় সিসি ক্যামেরা দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণে বাঁশখালী উপজেলার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাবসায়ীক কেন্দ্র গুনাগরী খাসমহল এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দেখা দেয়। বাজারের সওদাগর ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাজারের একাধিক পয়েন্টে এখনো নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দারোয়ানরা কাজ করছে।
সপ্তাহের প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রয়বিক্রয় করার জন্য লোকজন এ বাজারে আসেন। তাছাড়া অন্যান্য দিনেও লোক সমাগমে পুরো বাজার মুখরিত থাকে। বাজারে বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা। রামদাস মুন্সি হাটে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থাকলেও বিভিন্ন সময় চোরের দল সুযোগ পেলেই চুরির ঘটনা ঘটায়।
বিষয়টি ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ মারাত্মক বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার ও বাজারবাসীর নিরাপত্তা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় অবশেষে কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালামের সার্বিক প্রচেষ্টায় গুনাগরী চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, গুনাগরী চৌমুহনীতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম পরিষদে রয়েছে। সেই সিসি ক্যামেরা দ্বারা বাজারের দোকান পাটে সংঘটিত চুরি-ডাকাতিসহ যে কোন অঘটনের সাথে সম্পৃক্তদের স্বনাক্ত করার জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহভাজন লোকদের গতিবিধি ও চলাচল পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদ সুন্দর ইউনিয়ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি দিয়ে সহযোগিতা করায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গুনাগরীর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই রামদাস মুন্সির বাজার ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানান।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ সোহেল সরকার কর্তৃক লন্ডন থেকে প্রকাশিত
সহ সম্পাদকঃ মোঃ শেখ ফরিদ বার্তা বিভাগঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া
সহকারী বার্তা সম্পাদক বি এম আবুল হাসনাত